একজন পাগলের গল্প
ডাক নাম লাল মিয়া পাগলা, সমাজের মানুষ তাকে পাগল নামে ডাকত, লাল মিয়া পাগলা নামে সবাই তাকে চিনে। সে এক নতুন সমাজ ব্যবস্থার কথা বলতেন যা কি না ছিল সমাজের বিপরিত মুখি তাই সমাজের কাছে সে প্রতিনিয়ত মার খেতেন বিশেষ করে তার পরিবারের লোকদের কাছে সব চেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছেন।নিজ পরিবার এবং সমাজের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে পরিবার পরিজন ছেড়ে নদীর পারে ছোট্ট একটি কুড়ে ঘর করে থাকতেন আর নদী পাড়াপার করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।এই নদীর পাড়ের কুড়ে ঘরে থেকেই তিনি শান্তির বাণী প্রচার করতেন আর মানুষের দ্বারা মার খেতেন।প্রতিদিন মানুষের কাছে মার খাওয়াই ছিল তার নৈমিত্তিক ব্যাপার, আমি যত টুকু শুনেছি জিবদ্দসায় তার দাত গুলি মানুষে মেরে ফেলে দিয়ে ছিল, একা একা কুড়ে ঘরে কুড়ে কুড়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন 14/07/1989 তারিখে মৃত্যুর পুর্বে তিনি এক খানা বই লিখে যান যে বইয়ের নাম ছিল শান্তির প্রতিক অমর বাণী।সম্ভবত ১৯৮০ সালের দিকে তার বইটি প্রকাশ করা হয়েছিল, নদী পাড়াপার করে যে টাকা পেতেন তা থেকে তিনি ২০০০ দুই হাজার টাকা খরছ করে এক হাজার বই ছাপান। তার বইয়ের প্রথম পাতায় এ কথা টা লিখা আছে যে এক হাজার বই ছাপাতে যাতায়াত খরছ সহ দুই হাজার টাকা খরছ হল আর এখানে আমি তার সততার আরেকটা নিদর্শন দেখতে পাই, আজ পর্যন্ত কোন বইয়ে কেউ এভাবে সত্য কথাটা লিখা থাকে না।তার প্রতিটা বইয়র মূল্য ছিল মাত্র দুই টাকা, যাই হোক তার বইয়ের এক খান কপি আমার কাছে যে ভাবে হোক এসেছে বইটা পড়ে এবং তার বইয়ের নাম টা আমার কাছে পছন্দ হওয়াতে (শান্তির প্রতিক অমর বাণী) তাছাড়া করোনা কালীন সময়ে কোন কাজ কাম না থাকায় ঘরে বন্দি অবস্থায় কি ভাবে সময় পার করা যায় তা ভাবতে ভাবতেই এই সাইটটা তৈরী করলাম, যাতে করে তার অমর বাণী বই খানা আরো কিছু দিন অমর করে রাখা যায় তবে আপনারা দয়া করে গালা গালি না করে পাগলের সাইট ভেবে ক্ষমা করে দিবেন।আমি তার মত মার খেতে প্রস্তুত নই, তাই আপনি মনে করতে পারেন যে আপনার বিশ্বাসের কপিই আমি লালন করছি। তবে হ্যা তার বইয়ের কিছু কিছু কথা আমাকে সত্যিই অনেক ভাবায় যেমন তার বইয়ে তিনি লিখেছেন নবী যদি না হইত এই দুনিয়া অন্ধকার থাকত, আল্লাহর নূরে নবী তৈয়ার, নবীর নূরে সারা জাহান তৈয়ার, তার এই কথা টা শুনার পর আমার মাথায় শুধু একটা প্রশ্নই বার বার আসছে আর তা হল আল্লাহ্ আর রাসুলের সংমিশ্রনের নামই কি বিগব্যাং ? বিজ্ঞানীর আলোর বিশ্লেষন করতে পারলেও অন্দকার নিয়ে আজঅব্দি কোন বিশ্লেষন করতে পারে নি যে অন্দকার জিনিষ টা আসলে কি ? এই জন্যই তাদের সর্ব শেষ ব্যখ্যা “There was never a Big Bang that produced something from nothing. লাল মিয়ার কথা অনুসারে নবী যদি না হইতো এই দুনিয়া অন্দকার থাকত যা কি না বিগব্যাং এর আগের রূপ। বিজ্ঞান যদিও বলে বিগব্যাং এর আগে কিছুই ছিল না কিন্তু লাল মিয়ার মতে অন্দকার ছিল, আর এই অন্দকারের কোন ব্যখ্যা বিজ্ঞান করতে পারে না বিধায় বলে কিছুই ছিল না। তিনি আরও বলেন যে আল্লাহ্ রাসুল এক না হলে কোন কিছূ সৃষ্টি হয় না......... কিছুই বুজে আসে না মাথ বো বো করতাছে তবে আমার কাছে মনে হয় এই পৃথিবীতে আমি তার একমাত্র ভক্ত যাকে আমি ভালবাসি। তার কারন তিনি কোন বিবাদ সৃষ্টি করেননি বরং সারা বিশ্বকে এক করার জন্য স্বপ্ন দেখতেন যে বিশ্ব পরিচালনা করবেন হযরত ইমাম মাহদি (আঃ) স্বয়ং নিজে। তার কথা অনুযায়ী ইমাম মাহদি (আঃ) নাম ধারন করেই মোহাম্মদ (সঃ) আসবেন কেননা বর্তমান যুগের বাদশাহীর জন্যই তিনি পূর্ব যুগে বাদশাহী করেননি। যার অলংকার তার অঙ্গেই শোভা বর্ধন করে বেশি। যেখানে আল্লাহ্ নিজে বলেছেন যে আমি রাসুল কে সৃষ্টি না করলে কোন কিছু সৃষ্টি করতাম না, সে হিসেবে প্রতিটা সৃষ্টির বাদশাহ হচ্ছেন রাসুল (সঃ) যাই হোক এগুলো লাল মিয়া পাগলার কথা তাই আপনাকে যে বিশ্বাস করতে হবে এমন কোন কথা না। আমি তার একটি কথাই আমার অন্তরে লালন করি আর তা হল -
বিশ্ব মানব যদি বাচঁতে চাও
সারা দুনিয়া এক হও।
14/04/2021 আজ থেকে বিধায়